মিজান চৌধুরী, নির্ভীক রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে পরিচয় অর্জন করেছেন। তার রয়েছে পুরস্কারের একটি বিস্ময়কর সংগ্রহ। তার গল্প-অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ এবং ‘আইন অন্ধকারে দেখতে পায়’ সেটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা।
সরকারের মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার টাকা খরচের অনিয়ম, আর্থিক দুর্নীতি, জাতীয় বাজেট, ব্যবসায় বাণিজ্য, ক্রস বর্ডার, বিদেশ অর্থ পাচার ও অর্থনীতির ইস্যুগুলো নিয়ে কাজ করছেন। তিনি শোষিত জনগোষ্ঠীর পক্ষে, সরকারি নীতি-প্রজ্ঞাপনে শুভঙ্কর ফাঁকি, আর্থিক প্রতারণা, নিত্যপণ্যের বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে নিরলসভাবে কাজ করছেন।
পদ্মা নদীর তলদেশ দেখিয়ে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে লোপাট প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় যুক্তরাজ্যেও এনকোয়ারার অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হন। রয়টার্সের অঙ্গ সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রের ‘থমসন ফাউন্ডেশন’ থেকে দেওয়া হয় এ অ্যাওয়ার্ড। এছাড়া সাংবাদিকদের বড় সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি থেকে পাঁচবার শ্রেষ্ঠ রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য ইউনেস্ক বাংলাদেশ ইনভেস্টিগেশন জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ড, দুদক মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেন। পাশাপাশি বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্টান প্রজ্ঞা, অর্থনৈতিক রিপোর্টাস ফোরাম (ইআরএফ) ও আমেরিকান চেম্বার অব কর্মাসের ‘অ্যামচেম ফ্রন্টলাইন জার্নালিজম’ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছেন। এছাড়া অনুসন্ধানী সংবাদিকতার উপর ‘যাত্রী-ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়’, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অব বাংলাদেশ (টিআইবি), বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) থেকে স্বল্পমেয়াদি ফেলোশিপ সম্পন্ন এবং দেশি ও বিদেশি একাধিক প্রশিক্ষন নিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ’র শীতকালীন বৈঠক, ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ’র বার্ষিক বৈঠক, সিঙ্গাপুরে বিনিয়োগ সামিট, চীনে সাংহাই এক্সপো এবং মালয়েশিয়া পামওয়েল কাউন্সিল কনফারেন্স কভার করার মধ্য দিয়ে বিস্তর অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।